×

To install this app on your iPhone, tap Share 🔗 then Add to Home Screen.

"কঠিন না হলে, সবার দ্বারাই এ কাজ সম্ভব হতো। কঠোরতাই এ কাজের মহত্ব।"

উপরের কথাটি যার মুখ থেকে নিঃসৃত, এ পৃথিবীর অবিনশ্বর ব্যক্তির তালিকায় নাম লেখানোর কঠিন যুদ্ধে টিকে যাওয়া কয়েকজন বিজয়ীর মধ্যে তিনি একজন। বলতে গেলে, মহত্ব তার হাতে এসে ধরা দিয়েছে নাকি তিনি মহত্বকে নিজ প্রচেষ্টায় ছুঁয়েছেন, সে ব্যাপারটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে না ভুগে উপায় নেই।
মানুষটা দেখতে বড্ড সাদামাটা। আপনি যদি তার সাথে আগে পরিচিত না হয়ে হঠাৎ করে তার কোনো ছবি দেখেন তাকে কোনো উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা বা কোনো ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ভেবে নেওয়া একদম স্বাভাবিক ব্যাপার। তার চেহারা, পোশাক, চালচলন ও কথাবার্তায় যতটা না বিখ্যাত ব্যক্তির ভাবমূর্তি প্রতিফলিত হয় তার থেকেও কয়েকগুণ বেশি আমেরিকান শিক্ষিত ও মার্জিত সিনিয়র সিটিজেনের ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে।
শুধু বর্তমানেই নয় কিন্তু, সেই শুরু থেকেই তিনি এমন ছিলেন। একই জগতে কাজ করা একই প্রজন্মের অন্যান্য ব্যক্তিরা হালফ্যাশনের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের বাহ্যিক বেশভূষা ও স্টাইল নিয়ে সচেতন থাকলেও সেসব নিয়ে তেমন মাথাব্যথা ছিল না তার। বাকিদের মতো চলাফেরাতেও নিজের তারকাসুলভ আচরণ প্রকাশ করতে তাকে দেখা যায়নি। ব্যস্ত কোনো শহুরে রাস্তার ফুটপাত ধরে তিনি হেঁটে গেলেও সাধারণ কোনো জনতা থেকে তাকে আলাদাভাবে চেনার কোনো উপায় ছিল না। আর এমন মধ্যবিত্ত গোছের নিপাট ভদ্রলোকের বেশ ধরেই একের পর এক আকাশের তারা নিজের হাতের মুঠোয় এনে বন্দি করে চলছিলেন তিনি, নীরবে!
বলছিলাম রুপালি পর্দার এমন এক নক্ষত্রের কথা, সত্যিকারের সিনেপ্রেমী হয়ে থাকলে যার সাথে পরিচিত না হয়ে, আপনি পারবেনই না! কখনো যুদ্ধ ময়দানে প্রাণপণ লড়াইয়ে অংশ নেওয়া সেনা, কখনো চাঁদের দেশে অভিযান চালানো মহাকাশচারী, কখনো আইনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কখনো পাইলট, কখনো গ্যাংস্টার, কখনো জাহাজের ক্যাপ্টেন ইত্যাদি এমন অনেক চরিত্রে তার সরব উপস্থিতি সিনেমার পর্দায় গত চার দশক ধরে দেখা গেছে। তার অভিনীত বেশিরভাগ সিনেমা যেমন নন্দিত হয়েছে, তেমনি তার বেশিরভাগ চরিত্রই দর্শকের মনে অমলিন হরফে স্থান করে নিয়েছে।

'সেভিং প্রাইভেট রায়ান' সিনেমায় যোদ্ধার চরিত্রে সাবলীল অভিনয়ের জন্য ২০০৬ সালে তাকে 'ইউনাইটেড স্টেটস আর্মি র‍্যাঞ্জার্স' এর সম্মানিত সদস্য রূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনিই প্রথম অভিনেতা যে কিনা এমন সম্মান নিজের করে নিয়েছেন।
২০১৪ সালে আমেরিকান সংস্কৃতিতে বেশ কয়েক যুগ ধরে শিল্পী হিসেবে অসামান্য অবদানের জন্য 'কেনেডি সেন্টার অনার্স' মেডেল লাভ করেন।
২০১৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন সিভিলিয়ান অ্যাওয়ার্ড 'প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অভ ফ্রিডম' জেতার মাধ্যমে নিজেকে একজন সুযোগ্য ও আর্দশ আমেরিকান সিটিজেন রূপে প্রমাণ করেন টম। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার হাত থেকে এ মেডেল নিজের গলায় বরণ করেন তিনি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে রুপালি পর্দায় এতটা সূক্ষ্মভাবে পরিবেশন করার জন্য ২০১৬ সালে 'ফ্রেঞ্চ লিজিওন অব অনার' প্রদানের মধ্য দিয়ে সম্মান জানানো হয় তাকে। এটাকে ফ্রান্সের মিলিটারি ও সিভিল মেরিটের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে।
টম হ্যাঙ্কস নামে সর্বজনীন পরিচিত এ মহা তারকার জন্মদিন।
শুভ জন্মদিন সিনে জগতের দেবদূত

টম হ্যাঙ্কস হলিউড সাম্রাজ্যের রাজসভার কোন পদের অধিকারী, তা নিয়ে হিসাবকিতাব কষতে যাচ্ছি না৷ শুধু একজন ভক্ত হিসেবে তিনি যেন আরও কয়েক দশক ধরে হলিউড সাম্রাজ্যকে নিজের বিশালতা দিয়ে মাথা উঁচু করে তুলে ধরতে পারেন এ কামনাই করি।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট।
"কঠিন না হলে, সবার দ্বারাই এ কাজ সম্ভব হতো। কঠোরতাই এ কাজের মহত্ব।" উপরের কথাটি যার মুখ থেকে নিঃসৃত, এ পৃথিবীর অবিনশ্বর ব্যক্তির তালিকায় নাম লেখানোর কঠিন যুদ্ধে টিকে যাওয়া কয়েকজন বিজয়ীর মধ্যে তিনি একজন। বলতে গেলে, মহত্ব তার হাতে এসে ধরা দিয়েছে নাকি তিনি মহত্বকে নিজ প্রচেষ্টায় ছুঁয়েছেন, সে ব্যাপারটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে না ভুগে উপায় নেই। মানুষটা দেখতে বড্ড সাদামাটা। আপনি যদি তার সাথে আগে পরিচিত না হয়ে হঠাৎ করে তার কোনো ছবি দেখেন তাকে কোনো উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা বা কোনো ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ভেবে নেওয়া একদম স্বাভাবিক ব্যাপার। তার চেহারা, পোশাক, চালচলন ও কথাবার্তায় যতটা না বিখ্যাত ব্যক্তির ভাবমূর্তি প্রতিফলিত হয় তার থেকেও কয়েকগুণ বেশি আমেরিকান শিক্ষিত ও মার্জিত সিনিয়র সিটিজেনের ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে। শুধু বর্তমানেই নয় কিন্তু, সেই শুরু থেকেই তিনি এমন ছিলেন। একই জগতে কাজ করা একই প্রজন্মের অন্যান্য ব্যক্তিরা হালফ্যাশনের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের বাহ্যিক বেশভূষা ও স্টাইল নিয়ে সচেতন থাকলেও সেসব নিয়ে তেমন মাথাব্যথা ছিল না তার। বাকিদের মতো চলাফেরাতেও নিজের তারকাসুলভ আচরণ প্রকাশ করতে তাকে দেখা যায়নি। ব্যস্ত কোনো শহুরে রাস্তার ফুটপাত ধরে তিনি হেঁটে গেলেও সাধারণ কোনো জনতা থেকে তাকে আলাদাভাবে চেনার কোনো উপায় ছিল না। আর এমন মধ্যবিত্ত গোছের নিপাট ভদ্রলোকের বেশ ধরেই একের পর এক আকাশের তারা নিজের হাতের মুঠোয় এনে বন্দি করে চলছিলেন তিনি, নীরবে! বলছিলাম রুপালি পর্দার এমন এক নক্ষত্রের কথা, সত্যিকারের সিনেপ্রেমী হয়ে থাকলে যার সাথে পরিচিত না হয়ে, আপনি পারবেনই না! কখনো যুদ্ধ ময়দানে প্রাণপণ লড়াইয়ে অংশ নেওয়া সেনা, কখনো চাঁদের দেশে অভিযান চালানো মহাকাশচারী, কখনো আইনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কখনো পাইলট, কখনো গ্যাংস্টার, কখনো জাহাজের ক্যাপ্টেন ইত্যাদি এমন অনেক চরিত্রে তার সরব উপস্থিতি সিনেমার পর্দায় গত চার দশক ধরে দেখা গেছে। তার অভিনীত বেশিরভাগ সিনেমা যেমন নন্দিত হয়েছে, তেমনি তার বেশিরভাগ চরিত্রই দর্শকের মনে অমলিন হরফে স্থান করে নিয়েছে। 'সেভিং প্রাইভেট রায়ান' সিনেমায় যোদ্ধার চরিত্রে সাবলীল অভিনয়ের জন্য ২০০৬ সালে তাকে 'ইউনাইটেড স্টেটস আর্মি র‍্যাঞ্জার্স' এর সম্মানিত সদস্য রূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনিই প্রথম অভিনেতা যে কিনা এমন সম্মান নিজের করে নিয়েছেন। ২০১৪ সালে আমেরিকান সংস্কৃতিতে বেশ কয়েক যুগ ধরে শিল্পী হিসেবে অসামান্য অবদানের জন্য 'কেনেডি সেন্টার অনার্স' মেডেল লাভ করেন। ২০১৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন সিভিলিয়ান অ্যাওয়ার্ড 'প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অভ ফ্রিডম' জেতার মাধ্যমে নিজেকে একজন সুযোগ্য ও আর্দশ আমেরিকান সিটিজেন রূপে প্রমাণ করেন টম। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার হাত থেকে এ মেডেল নিজের গলায় বরণ করেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে রুপালি পর্দায় এতটা সূক্ষ্মভাবে পরিবেশন করার জন্য ২০১৬ সালে 'ফ্রেঞ্চ লিজিওন অব অনার' প্রদানের মধ্য দিয়ে সম্মান জানানো হয় তাকে। এটাকে ফ্রান্সের মিলিটারি ও সিভিল মেরিটের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। টম হ্যাঙ্কস নামে সর্বজনীন পরিচিত এ মহা তারকার জন্মদিন। শুভ জন্মদিন সিনে জগতের দেবদূত টম হ্যাঙ্কস হলিউড সাম্রাজ্যের রাজসভার কোন পদের অধিকারী, তা নিয়ে হিসাবকিতাব কষতে যাচ্ছি না৷ শুধু একজন ভক্ত হিসেবে তিনি যেন আরও কয়েক দশক ধরে হলিউড সাম্রাজ্যকে নিজের বিশালতা দিয়ে মাথা উঁচু করে তুলে ধরতে পারেন এ কামনাই করি। তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট।
0 Comments 0 Shares 0 Reviews
Sponsored